জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে সবাইকে শিশু ধরা হয়। বাংলাদেশের আইন অনুসারে ১৪ বছরের নিচে কোনো শিশুকে কাজ করার অনুমোদন দেয়া হয়নি। অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও স্কুলমুখী করা সম্ভব হচ্ছে না এসব শিশুকে।
বুড়িগঙ্গা নদীর মাঝখানে গড়ে ওঠা ইটভাটায় কাজ করে সবুজ(১২)। একই সঙ্গে কাজ করেন তার মা। পিতৃহীন সবুজের সংসার চলে মা-ছেলের আয়ে। তাই পড়ালেখার কথা ভাবার সময় হয়নি বলে জানায় সবুজ।
সবুজ বলে, ‘মায় একলা কাম করলে অয়? ঘর ভাড়া দেওন লাগে, খাওয়া লাগে। এর লাইগা আমিও কাম করি। স্কুলে যামু কি দিয়া? স্কুলে গেলে কাম করুম কেমনে? আর স্কুলের বই-খাতা কিনা দিব ক্যাডা?’
একই সমস্যার কারণে কাজে নেমেছে সাকিব(১১)। সাকিব লেগুনা সহকারী। কাজ করছে প্রায় বছর খানেক ধরে। দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয়ের বিপরীতে চলে সাকিবদের সংসার।